Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

অফিস সম্পর্কিত

এক নজরে আঞ্চলিক মসলা গবেষণা কেন্দ্র,মাগুরা

ভৌগোলিক অবস্থানঃ মাগুরা  ২৩ ডিগ্রি  ২৯ মিনিট উত্তর  অক্ষাংশে এবং ৮৯ ডিগ্রি ২৬ মিনিট  পূর্ব  দ্রাঘিমাংশে অবস্থিত ।

১১ই জানুয়ারী-/১৯৯৬ সালে ১৫.৯৬ একর জমি নিয়ে খুলনা বিভাগের মধ্যে একমাত্র মাগুরা জেলার বাটিকাডাঙ্গা মৌজায় মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র,বিএআরআই, মাগুরা অফিসের ভিত্তি প্রসত্মর স্থাপন করা হয়। পরবর্তীতে ২৯/০৩/২০০৩ তারিখে উক্ত উপ-কেন্দ্রটি মসলা গবেষণা উপ-কেন্দ্র থেকে আঞ্চলিক মসলা গবেষণা  কেন্দ্রে উন্নীত হয়।

প্রতিষ্ঠার পর থেকে স্বল্পতম সময়ের ব্যবধানে প্রয়োজনীয় সরকারী সহযোগিতা নিয়ে অত্র-কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের নিরলশ প্রচেষ্টার ফলে এ পর্যমত্ম বিভিন্ন মসলা ফসলের মোট ১৮ টি রোগ-বালাই প্রতিরোধী উচ্চ ফলনশীল জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। পাশাপাশি মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে৮২ টি উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। বর্তমানে ইহা ছাড়াও ১৫ টি মসলা ফসলের  আরও ৩০ টি জাত পর্যায়ক্রমে অবমুক্তায়নের  অপেক্ষা আছে।

ব্যবহৃত ২৭ প্রকারের মসলার মধ্যে বাংলাদেশে ১৭ টির চাষ হলেও মাত্র ৫/৬ টি যেমন- পিঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, মরিচ ও ধনিয়া প্রধান মসলা হিসাবে আবাদ হয়ে থাকে।

বর্তমান প্রায় ৪.০ লক্ষে হেক্টর জমিতে প্রায় ১৪.০৬ লক্ষ মেট্রি্ক টন প্রধান প্রধান মসলা ফসল উৎপাদিত হচ্ছে। তাছাড়া এসব প্রধান প্রধান মসলার অভ্যমত্মরীন চাহিদা মেটানোর জন্য আমাদের আরও প্রায় ৪.০ লক্ষ্যে মেট্রিক টন আমদানী করতে হয়।

বর্তমানে দেশের উৎপাদন ও আমদানী মিলে মাথাপিছু দৈনিক ২৪ গ্রাম মসলার চাহিদা পূরন করা সম্ভব হচ্ছে। দৈনিক প্রয়োজন মিটানোর জন্য মাথাপিছু মসলার চাহিদা ৪৫ গ্রাম। ঐ হিসাবে উল্লিখিত মসলা গুলো গ্রহনের মাত্রে ঘাটতির পরিমান প্রায় শতকারা ৩৬.৮৫ ভাগ। প্রতি বছর প্রধান প্রধান মসলা আমদানী করতে টাকার অংকে প্রায় ৬১৭ কোটি ব্যয় হয়। এ ছাড়া সম্পূর্ন আমদানী নির্ভর মসলা গুলি (দারম্নচিনি,এলাচ,লবঙ্গ,জিরা ও গোরমরিচ) আমদানী খাতে ব্যয় হয় প্রায় ১১৫ কোটি টাকা।